ঢেঁকিছাঁটা চালের গুণ
সাদা ধবধবে পলিশ করা চাল খাওয়াটা ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে পারলে শারীরিক সমস্যা কমবে।
এমন একটি সময় আমরা অতিক্রম করছি যে, কারও অভিজ্ঞতা নেই। এমন সময় শরীর ঠিক রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নানান ভাবে আলোচিত হচ্ছে যে, শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করার।
কিন্ত কিভাবে আমাদের ইমিউনিটি বাড়বে ?
প্রথম স্টেপ হতে পারে ঘর থেকে প্রচলিত সাদা চাল, মিনিকেট, নাজিরশাইল ইত্যাদি বাদ দিয়ে ঢেঁকি ছাটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করা।
খাবারের রংয়ের ছড়াছড়ি যত বেশি, পুষ্টিগুণও ততটাই বেশি - রং মানেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, আঁশ ইত্যাদি। এই ধারণার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে রঙিন চেহারা নিয়ে প্লেটে আবারও জায়গা করে নিতে চায় লাল চালের ভাত।
গবেষণা অনুযায়ি, প্রচলিত সাদা ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী।
সাদা চাল: স্বাস্থ্যের জন্য মোটামুটি ভালো। তবে এটি কলে ভাঙানো, পলিশ করার ফলে প্রাকৃতিক স্বাদ ও চেহারা পরিবর্তিত হয়। প্রক্রিয়াজাতের কারণে এতে থাকা লৌহ, ভিটামিন, দস্তা, ম্যাগনেসিয়াম-সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
অপরদিকে প্রক্রিয়াজাত করা না হলেও এর পুষ্টিগুণ হোল গ্রেইন বা প্রক্রিয়াজাত করা হয়নি এমন চালের পুষ্টিমানের সমান হয় না।
“প্রক্রিয়াজাত এই চালের ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’য়ের মাত্রা বেশি হওয়া এটি শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। লাল চালের তুলনায় এতে আঁশ কম থাকে।”
লাল চাল: অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুরি এই চাল। সাদা চাল বাদ দিয়ে লাল চালের ভাতে অভ্যস্ত হওয়ার মাধ্যমে ডায়বেটিস, হৃদরোগ, কোলেস্টেরলের সমস্যা ইত্যাদির আশঙ্কা কমতে দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। রক্তচাপ কমাতেও লাল চাল উপকারী। পাশাপাশি প্রদাহ এবং ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে সহায়ক এটি।
শুধু চাল পরিবর্তন করে জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
তারমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য সবার উপরে।
আলমগীর আলম
প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র